আবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটল বাংলায়। এবার যুবকের লালসার শিকার হলেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী বলে অভিযোগ। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায়। এই ঘটনা আজ, সোমবার প্রকাশ্যে আসতেই তেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণীকে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে ওই যুবক তাঁর উপর অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। ওই যুবক নির্যাতিতা মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীরই সম্পর্কে আত্মীয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই দ্রুত তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার জেরে ওই তরুণী এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী তাঁর মায়ের সঙ্গে বাড়িতে থাকেন। খুব একটা এলাকায় বের হতে দেখা যায় না। টুকটাক বাড়ির সামনের দোকানে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসে। এলাকার মানুষজন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর প্রতি যত্নশীল। তাই পাড়ায় নিরাপদই থাকে। তবু বাড়ি থেকে বের হতে তেমন দেওয়া হয় না। সেখানে গতকাল রাতে যখন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর মা বাড়িতে ছিলেন না তখন ওই আত্মীয় যুবক এসে ধর্ষণ করে দেয়।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা গ্রেফতার, টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের থানা এলাকায় ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকেন। রবিবার রাতে তাঁর মা বাড়িতে ছিলেন না। তখন মণিরুল মোল্লা নামে এক যুবক ওই ফাঁকা বাড়িতে যায়। আর ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। এমনকী কাউকে কিছু জানালে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও ভয় দেখানো হয়েছিল। এই যুবক মণিরুল মোল্লা ওই পরিবারের সম্পর্কে আত্মীয় বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আদালতে তোলা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর মা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন মেয়ের গায়ে পোশাক নেই। মেয়ে অবিন্যস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তা দেখেই তাঁর সন্দেহ হয়। তখন তরুণীকে চোখে মুখে জল দেন তাঁর মা। মাকে দেখে তখন কান্নাকাটি শুরু করেন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী। আর আকারে–ইঙ্গিতে গোটা ঘটনার কথা জানান। প্রতিবেশীরা তখন ওই ঘটনার কথা জানতে পারেন। আর পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান। ওই যুবকের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে সাহায্য করেন। তখনই পুলিশ ওই যুবকের খোঁজ শুরু করে। নির্যাতিতার মায়ের কাছে সব ঘটনা শুনে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয় নিউটাউন থেকে। ওখানে গা–ঢাকা দিয়েছিল। আজ সোমবার ধৃতকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে।