প্রথমবার প্রকাশ্যে আনা হল বহু প্রতীক্ষিত দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নানা ঝলক। যার উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী ৩০ এপ্রিল। এই মন্দিরটিকে ইতিমধ্যেই এক স্থাপত্যের বিস্ময় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আর এটি শীঘ্রই বাংলার একটি অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্রে ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। যেখানে দেশ–বিদেশ থেকে ভক্ত এবং পর্যটকরা ভিড় করবেন। উদ্বোধনের আর মাত্র বাকি ১০ দিন। আর তাই দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার অফিসে মিটিং করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। নবান্নে ইতিমধ্যেই মন্দির উদ্বোধন নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
এদিকে দিঘায় যে মন্দির গড়ে উঠেছে জগন্নাথধামের তার ছবি প্রকাশ করে নানা কথা লিখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবিগুলিকে এক্সক্লিউসিভ বলে দাবিও করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘কলিঙ্গ স্থাপত্যে মোড়া, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে প্রস্তুত দিঘার জগন্নাথ মন্দির। আগামী ৩০ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শুভ উদ্বোধন হবে এই মন্দিরের।’ আর এই মন্দিরে বিদ্যুতের কাজ এবং সঠিক সুরক্ষা আছে কিনা খতিয়ে দেখে যান বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী আগেই নবান্ন থেকে জানান, ২৯ তারিখ হবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। তার পরদিন ৩০ তারিখ নিয়ম মেনে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের থানাগুলিতে সিসি ক্যামেরার অবস্থা কেমন? ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী ২৭ তারিখ থেকেই দিঘায় থাকবেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস চক্রবর্তীরা। এমনকী থাকবেন কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আমলা, তারকা, অভিনেতারা। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এখন দিঘাজুড়ে স্থায়ী সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ করেছে দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা। মন্দিরের সামনে চৈতন্যদ্বার গেট তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিছু ছোটখাট কাজ বাকি আছে। শীঘ্রই চৈতন্যদ্বার খুলে যাবে। এই বিষয়ে জেলাশাসক বলেন, ‘জগন্নাথধাম উদ্বোধনের জন্য সব প্রশাসনিক প্রস্তুতি করা হচ্ছে। কোথাও কোনও ঘাটতি যাতে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।’
এছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই আধ্যাত্মিক স্থাপত্য তৈরিতে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘তিনি দিঘাকে আধ্যাত্মিক ও পর্যটনের প্রধান গন্তব্য হিসেবে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে ৩০ এপ্রিল, বিকেল ৩টে থেকে ৩টে ১০ মিনিটের মধ্যে। তবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু হবে এক দিন আগেই। এই মন্দিরের উদ্বোধন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টার প্রতীক—যা বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এবং রাজ্যের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।’