মুর্শিদাবাদে ছড়িয়েছিল ভয়াবহ হিংসা। তার রেশ থেকে গিয়েছে এখনও। এখনও থমথমে সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ান, সুতির সাজুর মোড়।
কীভাবে এই অশান্তি ছড়িয়েছিল? কারা ছিল এই অশান্তির পেছনে? পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা কেমন ছিল?
এবার এনিয়ে বিবৃতি জারি করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা বামফ্রন্ট। তাদের পক্ষ থেকে কী লেখা হয়েছে?
মুর্শিদাবাদ জেলা বামফ্রন্ট তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে,
'গতকাল অর্থাৎ ১১ এপ্রিল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে
ওয়াকফ (WAQF) সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে এস.ডি.পি.আই, ডব্লুউ.পি.আই, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সংগঠন এবং তৃণমূল কংগ্রেস এই জমায়েতের ইন্ধন যোগায়। সুতি ২ নম্বর ব্লক এর সাজুর মোড়ে এবং সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ানে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের খন্ড যুদ্ধ শুরু হয়।আন্দোলনকারীরা আন্দোলনের নামে হিংসাত্মক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হয়। আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেরকম সদর্থক কোন ভূমিকা গ্রহণ করা হয়নি। পুলিশ প্রশাসন সঠিক ভূমিকা পালন করলে এই ধরণের ঘটনা হয়ত ঘটত না। কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ আন্দোলন চলার পর শেষের দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি ছোড়ে বলেও শোনা যায়। সেই গুলিতে কয়েকজন জখম হয়েছে বলে জানা যায়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইজাজ সেখ নামে একজন মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় এবং আজ মারা গেছে। আজ দুপুরে ধুলিয়ানে একই পরিবারের ২ জন মারা গেছে। জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে মৃত পরিবারের সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।