পথে নেমেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। আরজিকর আন্দোলনের সময়ে যে চিকিৎসকদের রাস্তায় নামতে দেখা যেত তাঁরাও নেমেছেন পথে। তাঁরা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে রয়েছেন। ফের আন্দোলনে নাগরিক সমাজ। এবার কি অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের?
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'কাল থেকে বলছি মাস্টারমশাইদের যখন মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন স্কুলে যেতে তারা সরকারি দফতর দখল করতে বা স্কুল শিক্ষা দফতরে বা ডিআই অফিস দখল করতে যাবেন কেন? ডিআই অফিস দখল করে আরাজকতা করে তারা তো নিজেদের কেসটাকে দুর্বল করছেন। এখানে ডিআই অফিস দখল করে ফাইলপত্র ছিঁড়ে ফেললে কোনও ক্ষতি হয়ে গেলে সুপ্রিমকোর্ট বলবে আপনারা ইচ্ছে করে সেটা করেছেন। এই কাজটার মধ্য়ে প্ররোচনা যারা দিচ্ছেন তারা আসলে ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। দয়া করে স্কুলে যান। আপনাদের কাজ শিক্ষকতা করা। আপনারা শিক্ষকতা করুন। প্ররোচনায় পা দেবেন না। রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী যখন আপনাদের সামনে বলেছেন এই লড়াইটা তাঁর। তিনি লড়বেন। তার উপর ভরসা রাখুন। সুজন বাবু কিছু করতে পারবেন না। সুকান্তবাবু-শুভেন্দুবাবু কিছু করতে পারবেন না। বিকাশবাবু যা ক্ষতি করার করে দিয়ে চলে গিয়েছেন। সুতরাং এই লড়াইটা লড়তে দিন। এমন কিছু করবেন যা যাতে পরে আপনাদের উপর দায় পড়ে যে প্রমাণ লোপাট করেছেন। আমাদের তো কোনও কিছুর মধ্য়ে নেই। আমরা তো সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার সুপ্রিম কোর্টেই করা যায়। এখানে বসে, আন্দোলন করে, সরকারি অফিসে ভাঙচুর করে, শিক্ষাদফতরের অফিসে ঢুকে কিছু করলে বরং ক্ষতি। লাভের লাভ কিছু নেই। পুলিশ সরে যাবে! বলবে যে ফাইল ছুঁড়ে দিন, এটা পুলিশ বলতে পারে? আপনাদের কাজ স্কুলে যাওয়া। সেখানে যান।' বললেন ফিরহাদ হাকিম।