মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো সফল আইপিএল দলের ক্যাপ্টেন হওয়া এমনিতেই চ্যালেঞ্জের। ইতিমধ্যেই ৫ বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সমর্থকদের প্রত্যাশার বিপুল চাপ থাকে দলের উপরে। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার সামনে পরিস্থিতি কার্যত অসহনীয় হয়ে দাঁড়ায় গত মরশুমে। রোহিতকে সরিয়ে হার্দিককে ক্যাপ্টেন করায় মুন্বই ইন্ডিয়ান্সের সমর্থকরাই রুষ্ট হন ফ্র্যাঞ্চাইজির উপরে।
২০২৪ আইপিএলে হার্দিককে ঘরে-বাইরে প্রবল বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়। হঠাৎ করেই নিজের স্বার্থে গুজরাট টাইটানসের হাল ছেড়ে যাওয়ায় আমদাবাদে খেলতে গিয়ে গ্যালারির কটুক্তি শুনতে হয় পান্ডিয়াকে। মুম্বইয়ের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতেও ছবিটা বদলায়নি। নিজেদের সমর্থকরাই মুম্বই দলনায়কের উদ্দেশ্যে বিদ্রুপ করতে থাকেন।
আইপিএল ২০২৪-এ মুম্বইয়ের পারফর্ম্যান্সও হয় নিতান্ত হতাশাজনক। হার্দিকের নেতৃত্বে মুম্বই লিগ টেবিলের একেবারে শেষে থেকে আইপিএল অভিযান শেষ করে। হার্দিকের নেতৃত্বে মুম্বই সাফল্য পেলে ওয়াংখেড়ের দর্শকদের মনোভাব বদলাতে পারত। তবে গতবার তেমন কিছু না ঘটায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবির আশঙ্কায় ছিল এবারও অপ্রীতিকর ঘটনার মুখে পড়ার। তবে সোমবার কেকেআরের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের দাপুটে জয়ের পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে এমআই টিম ম্যানেজমেন্ট।
আইপিএল ২০২৫ শুরুর আগেই মুম্বই কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে কার্যত সমর্থকদের অনুরোধ করেন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়ার পাশে থাকার। যদিও তাতেও চিঁড়ে ভিজবে কিনা, সংশয় থেকেই গিয়েছিল। শেষমেশ চেনা ছন্দে ফেরে ওয়াংখেড়ের গ্যালারি। সোমবার হার্দিকের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা দর্শকরাই ফের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ধ্বনিতে গলা ফাটান। সুতরাং, ওয়াংখেড়ের গ্যালারি এতদিনে ‘রোহিতের অপমান’ ভুলেছে বলা যায়।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম কেকেআর ম্যাচের ফলাফল
ওয়াংখেড়েতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা ১৬.২ ওভারে ১১৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অংকৃষ রঘুবংশী ২৬, রমনদীপ সিং ২২, মণীশ পান্ডে ১৯, রিঙ্কু সিং ১৭ ও ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে ১১ রান করেন। মুম্বইয়ের হয়ে অশ্বিনী কুমার ২৪ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। ১৯ রানে ২টি উইকেট নেন দীপক চাহার।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১২.৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১২১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৪৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বই। অপরাজিত ৬২ রান করেন রায়ান রিকেলটন। ২৭ রানে নট-আউট থাকেন সূর্যকুমার যাদব। কেকেআরের হয়ে ২টি উইকেটই দখল করেন আন্দ্রে রাসেল। ম্যাচের সেরা হন অশ্বিনী।