চলতি বছরের একদম গোড়ার দিকে মুক্তি পেয়েছিল বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান। রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত এই ছবিটি পর্দায় মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের থেকে বেশ ভালোই সাড়া লেগেছিল। বক্স অফিসেও মোটের উপর ভালোই ব্যবসা করে। এবার জানা গেল এই ছবির মুকুটে জুড়ল নতুন পালক।
আরও পড়ুন: কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর পর আর কখনও কাঁচা আম খাননি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! কেন?
কী ঘটেছে?
রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান বিশেষ ভাবে সম্মানিত হয়েছে দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। এই চলচ্চিত্র উৎসবে পর্দায় নটী বিনোদিনীর চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য রুক্মিণী মৈত্র পেলেন সেরা অভিনেত্রীর খেতাব।
এদিন এই বিষয়টি ঘোষণা করে বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান ছবির প্রযোজনা সংস্থা দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্সের তরফে লেখা হয়, 'রুক্মিণী মৈত্রকে শুভেচ্ছা, ১৫ তম দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান ছবির জন্য। তোমার শক্তিশালী অভিনয় এখনও মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান পুরস্কার পেয়েছে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। সাউথ এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একটি নয়, তিন তিনটি বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’। সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেত্রী এবং সেরা দর্শকদের পছন্দের ছবির খেতাব পেয়েছে রাম কমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবিটি।
প্রথম বাংলা ছবি তো বটেই, প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবিতেই এত বড় সাফল্য পেতেই রাম কমল মুখোপাধ্যায় হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছিলেন, 'এটা বিশাল একটা প্রাপ্তি। আমি সেরা পরিচালক পুরস্কার পেয়েছি, রুক্মিণী সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছে। আর ছবিটি সেরা দর্শকদের পছন্দের পুরস্কার পেয়েছে। আমার মনে হয় এখান থেকে আমাদের সফরটা আসলে শুরু হল। আমি আর রুক্মিণী যেটা সবসময় বলি যে পিকচার অভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত। আমার মনে হয় আমাদের বিনোদিনীর সফরের এটা কোথাও একটা মধ্যান্তর। সিনেমাটা শেষ হয়নি এখনও।'
উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে

বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান প্রসঙ্গে
এই ছবিতে নাম ভূমিকায় আছেন রুক্মিণী মৈত্র। গুরমুখ রাইয়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে মীর আফসার আলিকে। কুমারের চরিত্রে রয়েছেন ওম সাহানি। গিরিশ চন্দ্র ঘোষ হিসেবে ধরা দিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। রাঙা বাবু এবং রামকৃষ্ণদেবের ভূমিকায় যথাক্রমে আছেন রাহুল বসু এবং চন্দন রায় সান্যাল। ছবিটির পরিচালনা করেছেন রাম কমল মুখোপাধ্যায়। ছবির প্রযোজনার দায়িত্ব সামলেছে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স লিমিটেড এবং প্রমোদ ফিল্মস।