দিল্লিতে বাড়ি ধসে মৃত একাধিক। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির মুস্তাফাবাদ এলাকায়। শনিবান ভোরে এই ঘটনা ঘটে। অনুমান করা হচ্ছে, দিল্লিতে চলতে থাকা টানা বৃষ্টির জেরে এই চারতলা বাড়িতে ধস নেমে থাকতে পারে। এদিকে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে উদ্ধার করা হয় সকলকে। পরে জানা যায়, সব মিলিয় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। মৃচদের মধ্যে বাড়িওয়ালাও আছেন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ও পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায় বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা, ভারতকে 'জ্ঞান' দিতে আসা বাংলাদেশে ঘটল ভয়াবহ কাণ্ড)
আরও পড়ুন: ধুলিয়ানে বাবা-ছেলে খুনের নেপথ্যে কি ব্যক্তিগত শত্রুতা? তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য
দিল্লির উত্তর-পূর্ব জেলার অতিরিক্ত ডিসিপি সন্দীপ লাম্বা নিশ্চিত করেছেন যে সকাল পর্যন্ত ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একাধিক জনের মৃত্যু ঘটেছে। আরও কয়েকজন আটকা পড়ে আছেন ধ্বংসস্তূপের নীচে। পরে সকলকেই উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। এর আগে সকালে ডিসিপি বলেছিলেন, 'ভোর ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ১৪ জনকে উদ্ধার করা গেলেও তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে (পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হয়)। এটি একটি চারতলা ভবন ছিল... উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এখনও ৮-১০ জন আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।' এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের শেয়ার করা একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে মর্মান্তিক মুহূর্তটি। (আরও পড়ুন: পাঠানে ক্ষুব্ধ তৃণমূলেরই MP-MLA, শেষবার কবে মুর্শিদাবাদে পা রেখেছিলেন ইউসুফ?)
আরও পড়ুন: 'মৌলবাদ নিয়ে ব্রেনওয়াশ', ধুলিয়ানে TMC সাংসদ-বিধায়কদের সামনেই বিস্ফোরক দাবি
এদিকে ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার রাজেন্দ্র আটওয়াল জানিয়েছেন, শনিবার রাত ২টো ৫০ মিনিট নাগাদ বাড়ি ধসের খবর আসে। তিনি বলেন, 'রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে আমাদের কাছে একটি ফোন আসে যে একটি বাড়ি ধসে পড়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারি যে পুরো ভবনটি ধসে পড়েছে এবং লোকেরা ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়েছে ... এনডিআরএফ, দিল্লি ফায়ার সার্ভিস মানুষকে উদ্ধারের কাজ করছে। (আরও পড়ুন: 'ওরা বাড়িতে ঢুকে...', রাজ্যপালকে বললেন মুর্শিদাবাদ হিংসার কবলে পড়া মহিলারা)
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল থেকে দিল্লিতে আচমকা আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যায়। রাতে দিল্লিতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের জেরে শহরের বিভিন্ন অংশ জলমগ্ন হয়ে যায়। এই আবহে বৃষ্টির কারণেই এই ভবনটি ধসে গিয়ে থাকতে পারে বলে মে করা হচ্ছে। এর আগে গত সপ্তাহে প্রবল ধূলিঝড়ের সময় মধু বিহার থানার কাছে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের দেয়াল ধসে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছিলেন।