মার্কিন সফরে গিয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় অংশ নিতে আমেরিকায় যান ইউনুস। তারই ফাঁকে হয় এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সেখানেই নাকি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধয়ক সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন। পাশাপাশি আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়েও নাকি আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা জমানায় আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশ তিক্ত হয়ে উঠেছিল।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগের সময় অভিযোগ উঠেছিল, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমেরিকাকে দেওয়া হয়নি বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। আর হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পরে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই সময় একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের সেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যেতে এখন থেকে বাংলাদেশিদেরই রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। যা নিয়ে সরব হয় অনেকেই। সন্দেহের বশে অনেকেই প্রশ্ন করেন, তাহলে কি আমেরিকার হাতেই তুলে দেওয়া হল সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে 'সেন্ট মার্কিন' মিম। পরে অবশ্য, বাংলাদেশ সরকার জানিয়ে দেয়, সেন্ট মার্টিন যেতে রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম চালুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আলোচনা হয়েছিল পরিবেশ রক্ষার স্বার্থেই।
এদিকে ইউনুস-বাইডেন বৈঠকের পরে বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টার দফতর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সেই বিবৃতি অনুযায়ী, কী ভাবে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পূর্ববর্তী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন সেই বিবরণ বাইডেনকে জানিয়েছেন ইউনুস। এদিকে বৈঠকে নাকি ইউনুস জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাঁর সরকার সাফল্য পাবেই। এদিকে বাইডেন নতুন সরকারকে সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। মার্কিন মুলুকে মোদীর সঙ্গে ইউনুসের বৈঠকের আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই প্রস্তাবে দিল্লি 'না' বলেছে। তবে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেখা করেন ইউনুসের সঙ্গে। বৈঠকের আগে ইউনুসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় বাইডেনকে।