আজ ডুয়ার্সের চা–বাগানে বন দফতরের পাতা খাঁচায় ফের খাঁচাবন্দি হল চিতাবাঘ। এটা ডুয়ার্সের মাটিয়ালি ব্লকের নাগেশ্বরী চা–বাগানের ঘটনা। আজ,শুক্রবার পাতা খাঁচায় ওই চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। ছাগলের টোপ দিয়ে চা–বাগানের ভিতরে খাঁচা পাতা হয়েছিল। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা চা–বাগানের ২২ নম্বর ডিভিশনের ২১ নম্বর সেকশনে পাতা খাঁচায় চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পান। তারপর ওই খাঁচার কাছে গিয়ে দেখেন সকলে একটি বড় চিতাবাঘ খাঁচার ভিতরে ছোটাছুটি করছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু মানুষের ভিড় দেখা দেয় এলাকায়। তারপর খবর দেওয়া হয় বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডে।
এদিকে খুনিয়া স্কোয়াডের রেঞ্জার সজল কুমার দে–সহ বনর্কর্মীরা এসে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে সেটিকে গরুমারার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকায় লাগাতার চিতা বাঘের হামলা দেখা যাচ্ছিল। সন্ধ্যার পরেই জনবসতি এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল ছাগল, শুকর–সহ গবাদি পশু। তখন থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে ছাগলের টোপ দিয়ে ওই খাঁচা বসানো হয়। তখন আতঙ্কে দিন গুজরান করছিলেন গ্রামবাসীরা। অবশেষে এদিন চিতাবাঘ খাঁচা বন্দি হয়।
আরও পড়ুন: সিকিম–শিলিগুড়ির লাইফলাইনে এখন ব্যাহত যান চলাচল, আবার কী হল সেখানে?
অন্যদিকে ওই এলাকায় লাগাতার চিতাবাঘের হামলা থেকে শুরু করে পায়ের ছাপ তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল। বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছিলেন সকলে। স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়েছিল বহু গ্রামবাসী। শুধু তাই নয়, চিতাবাঘের হানায় বহু শ্রমিক জখম হয়েছেন বলে খবর মিলেছিল। তাতে আরও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। বারবার বন দফতরের সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। তাঁরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কিছুতেই চিতাবাঘ ধরা পড়ছিল না। বহু কষ্ট করেও নাগালে আসছিল না চিতাবাঘ। এলাকার মানুষজন বারবার খবর নিয়েও হতাশ হচ্ছিলেন।
অবশেষে চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। আগেও নাগেশ্বরী চা–বাগানে চিতাবাঘের হানায় বহু শ্রমিক জখম হয়েছেন। তেমনি চা–বাগানে চিতাবাঘের আতঙ্ক দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিল। আজ খাঁচাবন্দি হওয়ায় শান্তির ঘুম দিলেন মানুষজন। সকলেই বন দফতরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সুতরাং এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন গ্রামবাসীরা। তবে চিতাবাঘের ছবি অনেকে তুলে রেখেছেন।