স্ত্রী খুবই সুন্দরী। বিশেষ করে তাঁর নাকটা একটু বেশি সুন্দর। বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন সকলেই স্ত্রীর রূপের প্রশংসা করেন। তাতেই সন্দেহ হয়েছিল পরকীয়ায় জড়িয়েছেন স্ত্রী। সেই সন্দেহে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর নাক চিবিয়ে খেয়ে নিলেন স্বামী। ছাড়ানোর চেষ্টা করলে স্ত্রীর হাতের আঙুলের একটি অংশ চিবিয়ে দেন মদ্যপ স্বামী। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার শান্তিপুরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: এবার ফিরবেন রিষড়ার BSF জওয়ান? ভারতের চাপে বৈঠক চাইছে পাকিস্তান)
আরও পড়ুন: হার না মানা হার- স্ত্রীকে গুলি করে খুনের চেষ্টা স্বামীর, প্রাণ বাঁচাল গলার চেন
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের গোপালপুরের বাসিন্দা বাপন শেখের সঙ্গে ৯ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বীরপাড়ার ওই মহিলার। বর্তমানে তাঁদের আট বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে । অভিযোগ, বাপন মদ্যপান করে প্রায়ই তাঁকে মারধর করতেন। এছাড়াও মানসিক নির্যাতন করতেন। মহিলা বলেন, ‘ও প্রায়ই আমাকে বলত তোর নাকটা খুব সুন্দর। ওটা আমি উপড়ে ফেলব।’ তবে স্বামীর কথায় ততটা গুরুত্ব দেননি মহিলা। এরপর শুক্রবার রাতে ঘুমিয়ে থাকার সময় আচমকা তাঁর স্বামী নাকে কামড় বসিয়ে কিছুটা অংশ চিবিয়ে খেয়ে নেন। যন্ত্রনায় সঙ্গে সঙ্গে মহিলার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। স্বামীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ।তখন বাপন তাঁর বাঁ হাতের একটি আঙুলের অংশ কামড়ে খেয়ে নেয় বলে অভিযোগ। (আরও পড়ুন: জারি 'নাটক', চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের শুনানির কী হল?)
আরও পড়ুন: যুদ্ধ যুদ্ধ রব উঠেছে বাংলাদেশে, এই নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
মহিলার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাপন তাঁর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার চালাতেন। কিন্তু, এদিনের ঘটনায় হতবাক সকলে। তিনি জানিয়েছেন, চিৎকারের চেষ্টা করলে বাপন তাঁর গলা টিপে ধরেন। পরে পরিবারের সদস্য ছুটে গেলে অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় বধূকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা করেছে।
মহিলা আরও অভিযোগ করেছেন, কন্যা সন্তান হওয়ার পরে তাঁর উপর শ্বশুর বাড়ির লোকজনও অত্যাচার শুরু করে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি অনেক দিন ধরেই বাপের বাড়িতে আছেন। কিন্তু, সেখানেও স্বামীর অত্যাচার চলত। মহিলার আশঙ্কা যে কোনও মুহূর্তে তাঁর স্বামী তাঁকে মেরে ফেলতে পারেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।