এবার শালবনিতে জিন্দাল পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস হতে চলেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়। সেখানের মঞ্চ থেকে শালবনিতে দু’টি ৮০০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল। শালবনিতে জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানা হয়েছে। তার পরেও বেশ কিছু পরিমাণ জমি পড়ে রয়েছে। সেখানেই জিন্দালদের পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে উঠবে বলে সূত্রের খবর। আর ওই পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করতে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কবে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? শালবনিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসা নিয়ে জেলা পুলিশ–প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মসূচির তারিখ এখনও সরকারিভাবে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে জেএলডব্লিউ সিমেন্ট কারখানার অফিসার দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় জানান, আগামী ২১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী শালবনি আসতে পারেন। যদিও এই তারিখ এখনই চূড়ান্ত বলা যাবে না। তবে ওই তারিখেই মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসবেন ধরে নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। শালবনি পশ্চিম মেদিনীপুরে পড়ে। এখানে যদি সত্যিই মুখ্যমন্ত্রী আসেন তাহলে তার কদিন পরই যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরে। কারণ দিঘায় জগন্নাথধাম উদ্বোধন হবে ৩০ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: আইনজীবী কল্যাণের জোরালো সওয়াল কলকাতা হাইকোর্টে, আটকে গেল শুভেন্দুর ধুলিয়ান যাত্রা
আর পূর্ব মেদিনীপুরে ২৮ তারিখেই চলে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার সাতদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বলেন, ‘এখনও বিষয়টি নিশ্চিত নয়।’ আর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, ‘আমাদের এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। তবে দিদি আসছেন বলে শুনেছি।’ উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর জিন্দালদের প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপরই অশান্ত হয়ে ওঠে জঙ্গলমহল। জিন্দালরা তখন ইস্পাত কারখানার পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। তারপর দেড় দশক কেটে গিয়েছে।