রাতভর আন্দোলন এসএসসি ভবনের সামনে। এহেন পরিস্থিতিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের হাতে যেন 'ললিপপ' ধরানোর চেষ্টা করল এসএসসি। যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে বলেও করেনি তারা। বদলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা-যাঁরা চাকরিতে বহাল থাকছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই বেতন পাবেন। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যে সব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি, কেবলমাত্র তাঁরাই ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে গিয়ে পড়াতে পারবেন। (আরও পড়ুন: হোটেল থেকে অর্ডার করা হয়েছিল খাবার, SSC ভবনে ঢুকতে দিলেন না চাকরিহারা শিক্ষকরা)
আরও পড়ুন: রাত ১টার সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চাকরিহারা শিক্ষকদের, কী বললেন ডিসি?
রাত ১২টা নাগাদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর তা দেখে আন্দোলনকারীদের মধ্য ক্ষোভ যেন আরও বেড়ে যায়। কারণ সেই বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। এই আবহে ২২ এপ্রিল মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে চাকরিহার শিক্ষকদের ঐক্য মঞ্চ। সাধারণ মানুষদেরও এসএসসি ভবনের সামনে ধর্না অবস্থানে হাজির হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: 'পুলিশ আটকাতে পারলে আটকে দেখাক', SSC ভবনে ঢুকে টয়লেট করার হুঁশিয়রি চাকরিহারাদের)
উল্লেখ্য, টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এসএসসি কর্মীরা নাকি গত এক সপ্তাহ ধরে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা তৈরির চেষ্টা করেছেন। এমনকী রবিবার ছুটির দিনেও কাজ হয়েছে এসএসসি ভবনে। তবে সোমবার সেই তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি এসএসসি। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এসএসএসির কাছে যোগ্য-অযোগ্য সংক্রান্ত তথ্য আছে। এই আবহে চাকরিহারাদের প্রশ্ন, তালিকা যদি থাকে তাহলে কেন দিতে পারছে না তারা? তাঁদের অভিযোগ, অযোগ্যদের বাঁচাতেই এই কাজ করছে এসএসসি। এদিকে ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, 'যাঁরা যোগ্য শিক্ষক, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা কাজ করবেন। তাঁদের মাইনে পাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই।' তবে যোগ্য কারা? সেটাই তো এখনও তালিকা দিয়ে জানাতে পারল না এসএসসি।