প্রেমানন্দ মহারাজ, কেবল একজন প্রচারক নন, তাঁর কথা সরাসরি আত্মাকে স্পর্শ করে। তাঁর কথায় গভীরতা, সরলতা এবং সত্যতা আছে, যা সরাসরি হৃদয়ে পৌঁছায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সৎসঙ্গ লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য আধ্যাত্মিক নির্দেশনার উৎস হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, একটি ভিডিয়োতে , তিনি কলিযুগের অবস্থা এবং আসন্ন সর্বনাশ সম্পর্কে গুরুতর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যা আমাদের জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।
কলিযুগ সম্পর্কে প্রেমানন্দ মহারাজের ভবিষ্যদ্বাণী
তাঁরই এক সৎসঙ্গে কলিযুগের বাস্তবতার উপর আলোকপাত করতে গিয়ে প্রেমানন্দ মহারাজ বলেছেন যে কলিযুগের মোট সময়কাল ৪ লক্ষ ৩২ হাজার বছর। এই যুগটি অধর্ম, পাপ এবং অপবিত্রতায় পরিপূর্ণ হবে। কলিযুগ যত এগোবে, সমাজে মিথ্যা, মিথ্যাচার, আসক্তি, হিংসা, অশান্তি, দুর্দশা এবং সংঘাত ততই বিরাজ করবে। তিনি বলেছিলেন যে যখন এই সমস্ত নেতিবাচক শক্তি তাদের চরমে পৌঁছাবে, তখন ভগবান সচ্চিদানন্দ স্বয়ং কল্কি রূপে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন। সমস্ত অশুভকে ধ্বংস করবেন এবং আবার সত্যযুগ প্রতিষ্ঠা করবেন।
কলিযুগের অবস্থা কেমন হবে
প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন যে যখন কলিযুগ তার প্রভাবে আসে, তখন সমাজে অধর্ম বিরাজ করে। মানুষ ভণ্ডামির পথে হাঁটতে শুরু করে এবং সত্যের পথ ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়। এমনকি সাধু-ঋষিরাও অর্থের লোভে পড়েন এবং ধর্মগ্রন্থের ভুল ব্যাখ্যা করেন। নারীর কামনা-বাসনা বৃদ্ধি পায়, মর্যাদা বিসর্জন যায় এবং শিশুরা অপবিত্র আচরণ শুরু করে। ব্যবসায় জালিয়াতি সাধারণ হয়ে ওঠে এবং মানুষ একটু হলেও প্রতারণার পথ ধরতে শুরু করে। তাই মহারাজের বার্তা হল, এই যুগে ভক্তিই সুরক্ষার একমাত্র পথ।
কলিযুগে মহাপ্রলয়ের পরিস্থিতি হতে পারে
প্রেমানন্দ মহারাজ এদিন আরও বলেছেন যে কলিযুগে মহাপ্লাবনের সময় খরা হবে এবং মানুষ ক্ষুধার্ত হতে শুরু করবে। এই যুগে মানুষ তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য প্রেমে পড়ার ভান করতেও পিছপা হবে না। তবে, এই সময় যদি ঈশ্বরের নাম নেওয়া হয়, তাহলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং আত্মাও শান্তি পাবে।