ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ তুলে ইস্টার সানডের প্রার্থনা সভায় বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তাণ্ডবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গুজরাটের আহমেদাবাদে। গোপনে এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, এমন দাবি ঘিরে শুরু হয় বিবাদ। ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন-Assam Wife Murder: সাইকেলে স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু! থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর, অসমে শোরগোল
জানা গেছে, ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে ওধব এলাকায় একটি হলে জমায়েত হয়েছিলেন আহমেদাবাদে বসবাসকারী প্রায় ১০০ জন খ্রিস্টান ধর্মালম্বী। অভিযোগ, প্রার্থনা চলাকালীন আচমকা ওই হলে ঢুকে পড়েন বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাণ্ডব চালাতে শুরু করে।ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ তুলে তাঁরা লাঠি দিয়ে হামলা করে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ভিএইচপি এবং বজরং দলের কর্মীরা 'হর হর মহাদেব' এবং 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দিতে দিতে লাঠি হাতে প্রার্থনা সভায় প্রবেশ করছেন। এরপর আক্রমণাত্মকভাবে শাড়ি পরা এবং মাথা ঢেকে থাকা মহিলাদের প্রার্থনা সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলছেন। এদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের থানায় নিয়েও যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘সিস্টেমে গলদ’, আমেরিকায় গিয়ে নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধী
ওধব পুলিশ ইন্সপেক্টর প্রতীক জিনজুভাদিয়া জানিয়েছেন, 'ওধবের বিমলপার্ক সোসাইটিতে ইস্টার সভা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। আমরা উভয় পক্ষের অভিযোগ দায়ের করেছি এবং মামলার তদন্ত শুরু করেছি।' তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বজরং দলের সদস্য দর্শন জোশী ধর্মান্তরকরণ অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি আবেদন করেছেন, যদিও তারা নিজেরাই অনুষ্ঠানে এর কোনও প্রমাণ পাননি। অন্যদিকে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ১০-১৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।তবে পুলিশ সূত্র খবর, এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। এদিকে বজরং দলের উত্তর গুজরাট আহ্বায়ক জওয়ালিত মেহতা বলেন, ভিএইচপি এবং বজরং দলের কর্মীরা ওধব এবং নিকোলে খ্রিস্টানদের প্রার্থনা সভায় ঢুকেছিল, কারণ তাদের কাছে খবর ছিল যে ধর্মান্তরকরণ হচ্ছে।