'ভারতের কাছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক অত্যন্ত মূল্যবান।' সৌদি আরব সফরের আগে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার সকালেই যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের আমন্ত্রণে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অপরিশোধিত তেল এবং তৈল সংশোধনাগারে লগ্নির ব্যাপারে দু’দেশ মোদীর সফরের পর কতটা এগোতে পারে, সেটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। (আরও পড়ুন: 'ন্যায়বিচার হবে', মার্কিন মুলুকে ধৃত খলিস্তানিকে নিয়ে বড় মন্তব্য FBI প্রধানের)
আরও পড়ুন-Infosys:ছাঁটাইয়ের পরেও কাজের সুযোগ! বরখাস্ত ২৪০ শিক্ষানবীশকে কী অফার করল ইনফোসিস?
সৌদি সফর শুরুর আগে এক্স বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছি, যেখানে আমি বিভিন্ন বৈঠক ও অনুষ্ঠানে যোগ দেব। ভারত সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে তার মূল্য দেয়। গত দশকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য গতি অর্জন করেছে। আমি কৌশলগত অংশীদারি পরিষদ-র দ্বিতীয় বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। সেখানে আমি প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করব।' (আরও পড়ুন: 'ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের তোষণের রাজনীতি করছেন...')
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ভারত বোঝাল - 'আপনাকে বড় বলে, বড় সে নয়...'
জানা গেছে, ২ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী জেদ্দায় সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে, দু'জনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং প্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ১২ টা ৪০-এ প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিমান জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এরপর স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ২৫-এ প্রধানমন্ত্রী হোটেল রিটজ কার্লটনে পৌঁছবেন। তারপর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মোদী হোটেল রিটজ কার্লটনে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় করবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার সৌদিতে যাচ্ছেন মোদী। এর আগে ২০১৬ সালে এবং ২০১৯ সালে সে দেশে গিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-Infosys:ছাঁটাইয়ের পরেও কাজের সুযোগ! বরখাস্ত ২৪০ শিক্ষানবীশকে কী অফার করল ইনফোসিস?
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর সম্পর্কে সৌদি আরবে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সুহেল আজাজ খান বলেন, 'ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব পরিষদ রয়েছে। তাই, দুই নেতা, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ক্রাউন প্রিন্স, কৌশলগত অংশীদারিত্ব পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। তখন অনেক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠকে, উভয়েই অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব সম্পর্কিত অনেক বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন।