মার্কিন মুলুক থেকে রওনা হয়ে গিয়েছে বিমান। বৃহস্পতিবারই ভারতের মাটিতে পা রাখছে ২৬/১১ মুম্বই হানার মূল চক্রী তাহাউর রানা। তার আগে দিল্লির বুকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে নিয়ে হাইভোল্টেজ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনই জাবি সূত্রের। এদিতে, তাহাউর আসার খবরের পরই জানা যাচ্ছে, ২৬/১১ সম্পর্কিত কিছু রেকর্ড যা জানুয়ারি মাসের শেষে মুম্বই থেকে দিল্লিতে চাওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই দিল্লির পাটিয়ালা কোর্টে পৌঁছে গিয়েছে। ফলত, সম্ভবত তাহাউরকে ভারতে এনেই তাকে কোর্টে তোলা হতে পারে।
বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, তাহাউরকে তিহার জেলে রাখা হতে পারে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে তাহাউরকে ঘিরে ২৬/১১ র মামলায় প্রসিকিউটার হিসাবে নরেন্দ্র মানকে নিয়োগ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, দিল্লি বিমানবন্দরের কাছে সকাল ৭ টাতেই পৌঁছে গিয়েছে জেল ভ্যান, পাইলট এসকর্ট। এছাড়াও খবর, এনআইএর ৩ সিনিয়র অফিসার, ৩ জন গোয়েন্দা অফিসার, রবিবারই তাহাউরকে ভারতে আনতে উড়ে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। সেখান থেকে রওনা হয়েছে বিমান।
( Weather update of West Bengal: চৈত্রের শেষ লগ্নে স্বস্তির বৃষ্টি কি নামবে বাংলায়? আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কোন ইঙ্গিত)
( Yunus Message to Trump: ‘আপনার বাণিজ্য এজেন্ডার সমর্থনে..’, ট্রাম্পকে আরও এক বার্তা ইউনুসের! বক্তব্য কী?)
( Kolkata Metro Latest News: মহাবীর জয়ন্তীর দিনে আজ মেট্রো সংখ্যা কম! কোন রুট কী পরিষেবা? দেখে নিন)
( Minorities in Bangladesh: বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এড়ানো যায় না শুধু রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে বা..’, সরব দিল্লি)
( Tahawwur Rana Extradition: মুম্বই হানার চক্রী তাহাউরকে নিয়ে US থেকে বিমান ভারতমুখী! রানার ঠাঁই হতে পারে তিহারে-সূত্র)
এদিকে, তাহাউর ভারতে আসার আগেই, দিল্লিতে হাইভোল্টেজ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক তপন ডেকা, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এবং এনআইএ পরিচালক সদানন্দ দাতেও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, বুধবারের সেই বৈঠকের পর বিকেলে নিউজ ১৮র এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন,' রানার প্রত্যর্পণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর কূটনীতির একটি বড় সাফল্য। মোদী সরকারের প্রচেষ্টা হল ভারতের সম্মান, ভূমি এবং জনগণের উপর আক্রমণকারীদের বিচারের আওতায় আনা। তাকে বিচার এবং শাস্তির মুখোমুখি করার জন্য এখানে আনা হবে। এটি মোদী সরকারের একটি বড় সাফল্য।'