হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু তাঁদের বৈঠক ফলপ্রসূ তো হয়নি, বরং প্রকাশ্যে ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন জেলেনস্কি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই বৈঠকের মাঝপথে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের বেরিয়ে যেতে বলা হয় ওভাল অফিস থেকে।আর এই বচসার মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মারকারোভার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাত্র ১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে, ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতকে নিজের হাতের আড়ালে মুখ লুকিয়ে রাখতে দেখা গিয়েছে। একই সঙ্গে হতাশায় মাথা নাড়াচ্ছেন তিনি। এমনকি তাঁর মুখে স্পষ্ট ফুঁটে উঠেছে বিরক্তি। (আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশের চেষ্টা ২০ পাচারকারীর, সংঘর্ষ সীমান্তে, জখম BSF, গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি)
আরও পড়ুন: 'রাজনীতির আগে আমার পরিচয়- আমি মুসলিম', বললেন বাংলাদেশের নয়া দলের নেতা হাসনাতের
এক্স পোস্টে ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতের ভিডিওটি শেয়ার করেছেন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ড্যান স্ক্যাভিনো।একই সঙ্গে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, 'ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতও বোঝেন যে জেলেনস্কি বিপর্যয় ডেকে আনছেন। (আরও পড়ুন: 'চিনের জন্যে' আফগানিস্তানে ফেরার পরিকল্পনা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প)
ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডা স্থায়ী হয় প্রায় ৪০ মিনিট। তাতে বড় ভূমিকা ছিল ভান্সেরও। মূলত তাঁর একটি কথার উত্তর দিতে গিয়েই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারপর সংবাদমাধ্যমের সামনেই একে অপরকে দোষারোপ করে চলেন ট্রাম্প, ভান্স এবং জেলেনস্কি।বৈঠকের শুরুটা ভাল ভাবেই হয়েছিল। জেলেনস্কি, ট্রাম্প একে অপরকে অভিবাদন জানিয়েছিলেন। এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কটাক্ষ করে ভান্স বলেন, ‘চার বছর ধরে আমেরিকার একজন প্রেসিডেন্ট সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে কড়া কড়া কথা বলে গিয়েছেন। তারপর পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করলেন। দেশের একটা বড় অংশ ধ্বংস করলেন। আসলে শান্তি এবং উন্নয়নের পথ হল কূটনীতির পথ।’ 'বাইডেনের পথে হেঁটে আমরা দেখেছি। আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া কড়া কথা বলে দেখেছি। কাজে কিছু করে দেখাইনি। আসলে আমেরিকা যদি কূটনীতির পথে হাঁটে, তবেই আমেরিকা একটি সুন্দর দেশে পরিণত হতে পারবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই চেষ্টাই করে চলেছেন।’ (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হবিগঞ্জে ১০৮ কণ্ঠে গীতাপাঠ, পটুয়াখালিতে হল মতুয়া মহোৎসব)
ভান্সের এই বক্তব্যের পর জেলেনস্কি তাঁকে একটি প্রশ্ন করতে চান।এরপরেই আলোচনা ক্রমশ বচসায় পরিণত হয়। সেখানে ট্রাম্প, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ করেন। জেলেনস্কি আমেরিকার অসম্মান করেছেন বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। তাঁকে ওই বৈঠক থেকে চলে যেতে বলা হয় বলেও সূত্রের খবর। অন্যদিকে, জেলেনস্কি ওই বৈঠকে বাড়াবাড়ি করেছেন বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি এখনই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চান। ইউক্রেনে যে লড়াই চলছে তারও শেষ চান ট্রাম্প। তিনি যা চেয়েছিলেন তা চাইছেন না জেলেনস্কি। ইউক্রেন এখনও লড়াই চালিয়ে যেতে চাইছে বলেও দাবি ট্রাম্পের।