পশ্চিমবঙ্গের পর এবার অসমে ওয়াকফ অ্যাক্ট নিয়ে চড়ল পারদ। অসমের শিলচরে এদিন প্রতিবাদ ঘিরে হিংসার ছবি উঠে আসে। বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পাথর ছোড়ার। প্রসঙ্গত, এই ওয়াকফ অ্যাক্ট গত সপ্তাহেই পাশ হয়েছে সংসদে। এরপর তাতে শিলমোহর পড়ে রাষ্ট্রপতির। তারপর থেকেই দেশের নানান জায়গায় প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে।
এদিকে, ওয়াকফ নিয়ে প্রতিবাদে হিংসার ছবি উঠে এসেছে অসমের শিলচরে। শিলচরের পুরনো লখিপুর, চামরাগুদাম, বেরেগা এলাকায় হিংসার ছবি দেখা যায়। বর্ষণ হয়েছে ইট। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের সংঘাতের ছবিও উঠে এসেছে। প্রতিবাদীরা প্রথমে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ও স্লোগান মুখে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে কিছু যুবক সেই মিছিলে যোগ দিতেই পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি বাগে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বাংলার উত্তেজনার মধ্যে, অসমের শিলচর কছরের ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ ‘যুক্তিসঙ্গত বলপ্রয়োগ’, করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করেছে। কছরের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ প্রথমে সমাবেশটি শান্তিপূর্ণ ছিল, কিন্তু কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কয়েকজন সমাবেশে প্রবেশ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রায় ৩০০-৪০০ জন জড়ো হন। শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনের আওতায় মামলা করা হবে।’
এর আগ, শনিবারই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, রাজ্য পুলিশের কাছে ‘জোরলো ইন্টালিজেন্স’ রয়েছে কিছু ’বিঘ্ন' বাঁধতে চলেছে। সেই ঘটনার পর সদ্য অসমের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এদিকে, আজকের ঘটনায় এক প্রতিবাদী বলেন,' আমরা শিলচরে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করি। আমরা এই আইনের বিরোধিতা করি..। আমরা পাথর ছোঁড়ার ঘটনার নিন্দা জানাই। আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে নই এবং যারা পুলিশকে পাথর ছুঁড়েছে তাঁদের রেহাই দেওয়া হবে না। পুলিশ যদি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তাহলে আমরা খুশি হব।' প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা গতকালই জোর দিয়ে বলেছিলেন, যে ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে অসমে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং মুসলিম সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।