মোহনবাগান জুড়ে এখন নির্বাচনের উত্তাপ। সম্প্রতি মোহনবাগান এসজি আইএসএলের লিগ শিল্ড জিতেছে। এবার তাদের সামনে ট্রফি জয়ের লক্ষ্য। গত বার শিল্ড জিতলেও, ট্রফি জিততে পারেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এবার সেই লক্ষ্যে সফল হতে মরিয়া হোসে মোলিনা ব্রিগেড। তবে এসবের মাঝেই নির্বাচনী হাওয়া বইছে বাগান জুড়ে।
২০ মার্চ মোহনবাগানের কার্যকরী কমিটির পরবর্তী একটি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া পাঁচ সদস্যের একটি ইলেকশন বোর্ডের হাতে ক্লাবের যাবতীয় ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। নির্বাচন হয়ে নতুন কমিটি ক্ষমতায় এলে তখন আবার সেই দায়িত্ব ক্লাব কমিটির হাতে চলে যাবে। তার আগে পর্যন্ত ওই বোর্ডই ক্লাবের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির করবে বোর্ডই।
আরও পড়ুন: আর্কাদাগে বন্দিদশা ইস্টবেঙ্গলের, জুটছে না ঠিক মতো খাবার, চূড়ান্ত অব্যবস্থার শিকার ব্রুজোর দল
সোমবার মোহনবাগান ক্লাবের কার্যকরী কমিটির একটি বৈঠক ছিল। সেখানে সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘এই কর্মসমিতি বরাবরই চেয়েছিল, গত তিন বছরের বিপুল কর্মযজ্ঞ সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ক্ষমতায় থাকবে না। সেটা বার্ষিক সাধারণ সভাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম। সে ভাবেই কর্মসমিতি এগিয়েছে। আমাদের ক্লাবের সংবিধান অনুযায়ী আইনি বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দিতে।’
আরও পড়ুন: বর্ণহীন ফুটবল, গোলের মুখই খুলল না, আর্কাদাগের কাছে ০-১ হারল ইস্টবেঙ্গল
সচিব দেবাশিস দত্ত আবার বলেছেন, ‘তিন বার ফুটবলে ভারতসেরা হয়েছি। ২২ বছর পর হকি খেলতে নেমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ২৭ বছর পর রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ক্রিকেটে পি সেন ট্রফি জিতেছি। ক্লাবের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। স্পোর্টস লাইব্রেরি হয়েছে। যে কোনও কমিটির কাছে এটা ঈর্ষণীয় সাফল্য। সবার মধ্যে যে একতা আছে তার জন্যই আমরা সাফল্য পেয়েছি। পাশাপাশি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আবেগ এবং ফুটবলের প্রতি ভালবাসা আমাদের সফল হতে সাহায্য করেছে।’
আরও পড়ুন: যুবভারতীর বাইরে ধুন্ধুমার, বিক্ষোভ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের, অস্কারের দাবি, আশা এখনও শেষ হয়নি
যদিও ক্লাবের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যদি পরিসংখ্যান দিতে বসি, তা হলে অতীতে প্রচুর সচিব এবং কর্মকর্তারা ক্লাবকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। এখন ফুটবলটা বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। তা হলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে কৃতিত্ব দেব, নাকি ক্লাবের সচিবকে দেব, সেটা জানি না। যখন ক্লাব ত্রিমুকুট পেয়েছে বা ক্রিকেটে ট্রফি পেয়েছে তখনকার সচিবদেরও কৃতিত্ব প্রাপ্য। আর পি সেন ট্রফিতে মোহনবাগান যুগ্মজয়ী হয়েছে। এই ইতিহাস অবশ্য অনেকের মনে থাকে না।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।