গত বছর রাজ্য সরকার মৎস্যজীবীদের জন্য বড় প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল, যার নাম হল ‘সমুদ্র সাথী’। এই প্রকল্প অনুযায়ী সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকাকালীন মৎজীবীরা ভাতা পাবেন। ইতিমধ্যেই এবছর সমুদ্রে আগামী ২ মাস মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য মৎস্য দফতর। কিন্তু, রাজ্য সরকার প্রকল্প ঘোষণা করলেও কার্যত মৎস্যজীবীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীরা। তাঁরা অবিলম্বে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাবমেরিনের ধাক্কায় ডুবে যায় মাছ ধরার নৌকা, সাতদিন পর মিলল ২ মৎস্যজীবীর দেহ
সমুদ্র সাথী প্রকল্প কী?
প্রতিবছর সমুদ্রে দুমাস মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে থাকে সরকার। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা থাকে। ফলে এই দুমাস সমুদ্রে মাছ শিকার করতে পারেন না মৎস্যজীবীরা। ফলে এই সময়ে তাঁরা আর্থিক সংকটে পড়েন। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে এই প্রকল্প কার্যকর হয়। প্রকল্প অনুযায়ী, যে সমস্ত সামুদ্রিক মৎস্যজীবী নিষেধাজ্ঞার কারণে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না তাঁদের মাথাপিছু মাসে ৫০০০ টাকা করে সাহায্য দেবে রাজ্য। অর্থাৎ দুমাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন মৎস্যজীবীরা। গত বছরের বাজেটে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, উত্তর ২৪পরগণা, দক্ষিণ ২৪পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী মৎস্যজীবীরা এই সুবিধা পাবেন। এবছর রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আজ ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দু মাস সমুদ্রে মৎস্য শিকার বন্ধ থাকবে। মূলত মাছের বংশবিস্তার এবং বৃদ্ধির জন্য এই সিদ্ধান্ত সরকারের।
তবে মৎস্যজীবীদের সংগঠনের অভিযোগ, তাঁরা এই সুবিধা পাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, রাজ্যের অসহযোগিতার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের সাহায্যও পাচ্ছেন না। এবিষয়ে অল ফেডারেশন অব স্মল স্কেল ফিশ ওয়ারর্কাস সংগঠনের বক্তব্য, ভোটের আগে সরকার বহু প্রকল্প ঘোষণা করে। কিন্তু, পাওয়া যায় না। অবিলম্বে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে হবে বলে দাবি তুলেছেন মৎস্যজীবীরা।