দীর্ঘদিন ধরে কল্যাণী আদালতে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন জনা কয়েকজন আইনজীবী। কোন আইনজীবি কার সঙ্গে কথা বলবেন সেটাও ঠিক করে দেন তাঁরা। আর তাঁদের ফতোয়া না মানলেই বার থেকে বহিষ্কারের হুমকিও দেওয়া হয়। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা কাজে বাধা পাচ্ছেন নদিয়ার কল্যাণী আদালতে। এমনই অভিযোগ তুলে দায়ের হওয়া মামলায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ, মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে
আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ, কল্যাণী আদালতে এই অবস্থা দীর্ঘদিনের। ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না অনেক আইনজীবী। কিন্তু, গত বছর অগস্ট মাসে কল্যাণী আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থ প্রতিম দত্তের এজলাস বয়কট এবং বিচারককে হেনস্থা করার পর হাইকোর্টের এক আইনজীবী প্রতিবাদে নামেন। আক্রান্ত তিন আইনজীবী হাইকোর্টে মামলা করেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পথে নামেন আইনজীবীদের একাংশ।
আদালতের আইনজীবী সুকুমার গোস্বামীর করা সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ গত সপ্তাহে জেলা বিচারককে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনেই বৃহস্পতিবার জেলা বিচারক শুভঙ্কর সেন কল্যাণী আদালত পরিদর্শনে আসেন। মামলাকারী আইনজীবী এবং অভিযুক্ত উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে নিরাপত্তার দাবিতে জেলা বিচারক সহ প্রশাসনের কর্তাদের চিঠি দেন আদালতের ২০ জন আইনজীবী। বৃহস্পতিবার কল্যাণী ক্রিমিনাল কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এই চিঠি দিয়েছেন। সেখানে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আক্রান্ত আইনজীবীদের নামের তালিকাও দিয়েছেন তিনি। এদিন চিঠিতে এই ভয়ের পরিবেশ দূর করার পাশাপাশি আক্রান্ত আইনজীবীদের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে।