অবশেষে বৈশাখ মাসে দিলীপের জীবনে ‘বসন্ত’ নেমে এল। প্রেমিকার সঙ্গে শুভ পরিণয় সম্পন্ন করলেন। এখন রাফ অ্যান্ড টাফ রাজনীতিবিদ দিলীপ ঘোষ সংসারি হলেন। এই বিয়ে নিয়ে নানা মহলে চর্চা হলেও জীবনের ষাট বসন্ত পার করেছেন দিলীপ ঘোষ একাই। বঙ্গ–বিজেপির রঙিন চরিত্র দিলীপ ঘোষ আজ, শুক্রবার আবদ্ধ হলেন বিবাহবন্ধনে। সংঘের প্রচারক থেকে বিধায়ক, সাংসদ, রাজ্য সভাপতি, সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি হয়েছিলেন বিজেপির দৌলতে। সংসার জীবনে নতুন আঙ্গিকে তাঁকে এবার দেখা গেল। নানারকম চর্চা হলেও সবকিছুকে ‘ডোন্ট কেয়ার’ করে বিয়েতে ব্যস্ত দিলীপ ঘোষ। এক হলেন দিলীপ–রিঙ্কু।
এদিকে বাউন্ডুলে দিলীপ ঘোষ এখন বাঁধনে পড়লেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিজেপি নেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি ও ফুলে তোরা পাঠিয়েছেন। অথচ রোজ সকাল–বিকেল এই দিলীপ ঘোষই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র গালিগালাজ করেন। এখন সেসব অতীত। এখন শুধুই ‘তোমায় আমায় নিয়ে বাঁধব যে ঘর আমি সেই দেশে যাই’ এমন গানই মনে মনে গাইছেন দিলীপ ঘোষ। এবার দিলীপ ঘোষকে সংসার ধর্ম পালন করতে দেখা যাবে। তাঁর সহধর্মিণী হলেন রিঙ্কু মজুমদার। ছেলের বিয়ে দেখে খুশি হয়েছেন মা পুষ্পলতা। আগামীকাল শনিবার ১৯ এপ্রিল দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। ওইদিন প্রাতঃভ্রমণে ১৫০ জনকে ইডলি খাওয়াবেন তিনি। তারপর জন্মদিনের বিকেলে সস্ত্রীক খড়গপুরে রওনা দেওয়ার কথা আছে।
আরও পড়ুন: খাঁচায় বন্দি হয়েছে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ, নাগেশ্বরী চা–বাগানে বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধরা
অন্যদিকে গোধূলি লগ্নে বিয়ে সারলেন দিলীপ ঘোষ। বর এবং কনেপক্ষ মিলিয়ে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ৪০ জন। আজ, শুক্রবার দিলীপ ঘোষের রাজারহাটের বাড়িতেই চার হাত এক হল। সাপুরজি আবাসন থেকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষের নিউটাউনের আবাসনে আসেন। হিন্দু রীতি মেনে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদের বিয়ের পর্ব সম্পন্ন হয়। মায়ের আদরের গোপীবল্লভপুরের ‘নাড়ু’ অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের মধুরেণ সমাপয়েৎ হল। এবার হিল স্টেশনে যাবেন মধুচন্দ্রিমা করতে দিলীপ–রিঙ্কু। সেটা নিজেই জানালেন রিঙ্কু।
আরও পড়ুন: ‘গরুর দুধ থেকে সোনা’ খুঁজে পাওয়া দিলীপের বিয়েতে স্বস্তি মায়ের, মেনুতে কি থাকছে?
এছাড়া বিয়ে করতে লাল বেনারসী পরে আসেন রিঙ্কু মজুমদার। এই বেনারসী দিলীপ ঘোষের পছন্দ করে দেওয়া বলে জানালেন দিলীপ ঘরণী। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি সংসার সামলেছেন। অভিজ্ঞতা আছে। দু’জনেরই রাজনৈতিক জীবন থাকবে। তার সঙ্গেই আমরা পারিবারিক জীবন কাটাব। আমার মা খুব খুশি। মায়ের কথাতেই বিয়েটা হচ্ছে। উনি গিয়ে রিঙ্কুর বাড়িতে থেকে এসেছেন। আমি না থাকতে আমার মাকে রান্নাবান্না করে খাইয়েছে রিঙ্কু। ফলে অ্যাডজাস্টমেন্ট অনেকটা হয়েই গিয়েছে। বাকিটা ভগবানের ইচ্ছা।’ লাল বেনারসি, গলায় ভারী হার কনে পরেন রিঙ্কু। শুভদৃষ্টি, মালাবদল করে সম্পন্ন হল দাবাং নেতার বিয়ে।