রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে বৃষ্টির পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। কিন্তু ঝড় যে উঠবে, সেটা কারও জানা ছিল না। তবে শনিবার (৩ মে) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বয়ে গেল সংক্ষিপ্ত সময়ের প্রবল কালবৈশাখী। আর সেই কালবৈশাখীতে উড়ে গেলেন চেন্নাই সুপার কিংসের খালিল আহমেদ এবং মাথিশা পাথিরানা। আর বিশেষ সেই কালবৈশাখীর নাম রোমারিও শেফার্ড।
১৭.৪ ওভারে রজত পাতিদার আউট হতে, সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রোমারিও শেফার্ড। ১৮তম ওভার শেষে তাঁর সংগ্রহ ছিল ২ বলে ১ রান। এর পর ম্যাচের পুরো রং-টাই বদলে দিলেন শেফার্ড। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই ছয় দিয়ে তিনি তাণ্ডবের শুরুটা করেন। খালিল আহমেদ বল করতে এলে, তাঁকে পুরো কাঁদিয়ে ছাড়েন শেফার্ড। ৬-৬-৪-৬-৭নোবল-০-৪- খালিলকে পিটিয়ে এই ওভার থেকে মোট ৩৩ রান সংগ্রহ করেন উইন্ডিজ তারকা। সেই সঙ্গে লজ্জার নজিরে ডুবতে হয় সিএসকরে-র বোলারকে।
আইপিএল ২০২৫-এ সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভারের রেকর্ডটি করেন খালিল। খালিলেল এই ওভারটি টুর্নামেন্টের সব সংস্করণের মধ্যে যৌথ ভাবে তৃতীয় সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিল। আইপিএলে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভারের লজ্জার রেকর্ডটি রয়েছে পি. পরমেশ্বরনের নামে, যিনি কোচি টাস্কার্স কেরালার হয়ে খেলতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৩৭ রান দিয়েছিলেন।
এদিকে মজার বিষয়টি হল, আইপিএল ২০২৪-এ শেফার্ড এক ওভারে ৩২ রান নিয়েছিলেন একই সংখ্যক ছক্কা এবং চার মেরেছিলেন তিনি। সেবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে এনরিখ নরকিয়াকে পিটিয়েছিলেন শেফার্ড। তবে এদিন শুধু ১৯তম ওভারেই খালিলকে পিটিয়ে শান্ত হননি শেফার্ড।
২০তম ওভারে মাথিশা পাথিরানাকেও উদুম পেটান তিনি। এই ওভার থেকে নেন মোট ২১ রান। সেই সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ২০০ রানের গণ্ডি টপকে দেন। একটা সময়ে মনে হয়েছিল আরসিবি হয়তো ১৭০-১৮০ রান করবে। তবে শেফার্ডের সৌজন্যে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে ফেলে বেঙ্গালুরুর দল।
এদিকে রোমারিও শেফার্ড ১৪ রানে হাফসেঞ্চুরি করে নজির গড়ে ফেললেন। হাফডজন ছক্কা এবং চারটি চারের হাত ধরে করেন ১৪ বলে ৫৩ রান। এটি আইপিএলের ইতিহাসে যৌথ ভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরানের নজির। ২০১৮ সালে পঞ্জাবর কিংসের হয়ে কেএল রাহুল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৪ বল হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এছাড়া প্যাট কামিন্স ২০২২ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। সেই রেকর্ডই এদিন স্পর্শ করেন রোমারিও শেফার্ড। আর আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক যশস্বী জয়সওয়াল। ২০২৩ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে যশস্বী কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।