কেকেআরের সমস্যা শুরুই হয় ওপেনিং থেকে। আটটি ম্যাচে তাদের তিনটি ওপেনিং জুটির কোনও একটি নিয়মিতভাবে সফল হতে পারেনি। সোমবারের নতুন জুটি, রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং সুনীল নারিন, টিকেছিল মাত্র পাঁচ বল। এবারের আইপিএলে কেকেআরের ওপেনারদের গড় রান সবচেয়ে খারাপ (১৯.০০), এবং অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে স্বীকার করেছেন, এই দিকটাই তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।
গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে রাহানে বলেছিলেন, ‘যখন আপনি বড় লক্ষ্য তাড়া করছেন, তখন ভালো শুরু আশা করেন ওপেনিং ব্যাটারদের কাছ থেকে। আমরা এটাই উন্নত করার চেষ্টা করছি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে। বোলারদের নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই, আমি মনে করি বোলাররা খুব ভালো কাজ করছে। প্রতিটি ম্যাচে ওরা উন্নতি করছে।’
এরপরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা এই কন্ডিশন খুব ভালোভাবে জানি, কিন্তু আমাদের ঠিকভাবে ব্যাট করতে হবে। মিডল ওভারে ভালো ব্যাটিং করতে হবে — এখানেই আমরা ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে পিছিয়ে পড়ছি।’
আরও পড়ুন … কাদের দোষে GT-র বিরুদ্ধে হারল KKR? হারের দায় কাদের উপর দিলেন ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে?
রাহানের ৩৬ বলের ৫০ ছাড়া কেকেআরের আর কোনও ব্যাটার প্রকৃত অর্থে দায়িত্ব নিতে পারেননি। তাদের আরেকজন ফর্মে থাকা ব্যাটার অংকৃষ রঘুবংশী নেমেছেন ৯ নম্বরে, একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে, যেখানে বেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিং, রমনদীপ সিং, আন্দ্রে রাসেল ও মইন আলি তার আগেই ব্যাট করতে নেমেছেন। রঘুবংশী কিছু ভালো শট খেললেও তখন ম্যাচ কার্যত শেষ।
ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভো ব্যাখ্যা করেন, এই ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন এসেছে লেফট-রাইট কম্বিনেশন রাখার চিন্তা থেকে, বিশেষ করে রশিদ খান ও সাই কিশোরের মতো স্পিনারদের সামলানোর জন্য।
আরও পড়ুন … নিলামে এত টাকা নিয়ে গিয়ে কী করল CSK? IPL 2025-এ ধোনিদের ভুলটা ধরালেন রায়না-হরভজন
ব্র্যাভো আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি একটি লেফট-রাইট কম্বিনেশন গড়ে তুলতে। আমাদের দলে যেহেতু মানসম্পন্ন ডানহাতি ও বাঁহাতি ব্যাটার আছে, তাই আমরা সেটা সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চেয়েছি, বিশেষ করে এমন একটি দলে যাদের স্পিন আক্রমণ খুব শক্তিশালী। দুর্ভাগ্যবশত, অংকৃষকে ক্রমাগত নীচে নামতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন … সঞ্জু-শ্রেয়সকে পিছনে ফেললেন পন্ত! কী করে সূর্যের আগে হার্দিক? BCCI Annual Player Contracts নিয়ে বিতর্ক
এছাড়া ব্র্যাভো আরও বলেন, ‘যখন আপনি ২০০ রান তাড়া করছেন, তখন আপনি চেষ্টা করেন সবচেয়ে বড় হিটারদের আগে নামিয়ে বেশি থেকে বেশি রান আদায় করে নিতে। তবে আবারও বলছি, আমাদের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে। সাধারণত রান বা ফর্ম আত্মবিশ্বাস এনে দেয়, আর এখন আমাদের ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাসহীন অবস্থায় আছে। কিন্তু তারা চেষ্টা করছে, অনুশীলন করছে, পিছিয়ে পড়ে বসে নেই। তাদের চেষ্টার কোনও অভাব নেই — শুধু ফল আসছে না।’
রাহানে তার দলকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, পরের কয়েকটি ম্যাচে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, ‘এই ফরম্যাট সবসময় সাহসী হওয়ার ব্যাপার। অতীতে কী হয়েছে সেটা নিয়ে বেশি ভাবলে চলবে না। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
এরপরে রাহানে বলেন, ‘একজন ব্যাটার যদি আউট হওয়ার কথা ভাবে, তাহলে সে আউট হবেই। কিন্তু যদি রান করার কথা ভাবে, বাউন্ডারি বা ছক্কা মারার কথা ভাবে, তাহলে সেটাই হবে। আমি নিশ্চিত আমাদের ব্যাটাররাও সেটাই ভাবছে। এটা সময়ের ব্যাপার, আমি মনে করি।’