একদিকে আফগানিস্তান, একদিন চিন আবার অন্যদিকে পাকিস্তান। এর মাঝেই পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত হুঞ্জা উপত্যকা। হুঞ্জজা নদীর গতিপথ মেনে এই উপত্যকার নামকরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। এছাড়াও এই অঞ্চল আপার হুঞ্জা, মধ্য হুঞ্জা ও লোয়ার হুঞ্জা নামে তিন ভাগে বিভক্ত। হঠাৎ এই উপত্যকা নিয়ে কথা কেন? কারণ সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ১০০ বছরের বেশি বাঁচে। কোনও রোগ ছাড়াই তাঁরা বেশি বয়সেও দিব্যি পরিশ্রম করেন। শরীর চাঙ্গা রাখার জন্য তাঁরা এক বিশেষ ধরনের চা পান করেন। চায়ের নামও ওই উপত্যকার নামেই, হুঞ্জা চা।
আরও পড়ুন - তীব্র ভূমিকম্পে মাটি ফুঁড়ে উঠল ‘জলের রাজপ্রাসাদ’! চাঞ্চল্য মায়ানমারে
হুঞ্জা চায়ের গুণ
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওই অঞ্চলে বিভিন্ন ক্রনিক রোগ যেমন ক্যানসার, সুগার, প্রেশার ইত্যাদি নেই বললেই চলে। আর এই রোগগুলি নেই বলেই মানুষের গড় আয়ু ১০০ বছরের বেশি। তবে রোগবালাই না থাকার নেপথ্যে এই চায়ের কিছুটা গুণ রয়েছে বলে মনে করা হয়। হুঞ্জা চা একদিকে যেমন প্রদাহ নাশ করে, তেমনই অন্য দিকে বার্ধক্য রুখে দেয়। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই চা। আপনিও চাইলে বাড়িতে এই চা বানাতে পারেন।
আরও পড়ুন - পাত্রের আয় যেন ৩ লাখ ডলার হয়! তরুণীর ১৮ শর্ত দেখে বিরক্ত নেটিজেনরা
কীভাবে বানাবেন হুঞ্জা চা?
উপকরণ - ৪ কাপ জল, ৫-৬ টা তুলসী পাতা, একটি ছোট দারুচিনি, আধ চা চামচ আদাকুচি, ২ টো এলাচ
প্রণালি
১. প্রথম ৪ কাপ জলে ৫-৬ টা তুলসী পাতা, একটি ছোট দারুচিনি, আধ চা চামচ আদাকুচি, ২ টো এলাচ দিন। এবার জলটা ভালো করে ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে গেলে আঁচ কমিয়ে দিন। তারপর ঢেকে ৫-৭ মিনিটের জন্য ফুটতে দিন। এবার আঁচ বন্ধ করে দিন একটি কাপে চা ছেঁকে নিন। মিন্তি খেতে হলে এর মধ্যে আধ চা চামচ গুড় দিতে পারেন।