ডিজিটাল অ্যারেস্টের এক পাণ্ডাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই আধিকারিক, আয়কর আধিকারিক সেজে এই প্রতারণার ছক কষা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধৃতের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা, ল্যাপটপ, বিদেশি মুদ্রা সহ একাধিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে ওই ব্যক্তিকে কলকাতায় আনা হয়েছে।
কলকাতার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ওই ব্যক্তি। দিল্লিতে বসে প্রতারণার ছক কষা হত বলে অভিযোগ। টার্গেট করা হত কলকাতায় বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তিকে।
তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ডিজিটাল অ্যারেস্ট বলে আদপে কিছু হয় না। যে বিষয়গুলি শেয়ার করছেন সেটা একটু ভেবেচিন্তে করবেন। ডিজিটাল অ্যারেস্ট আসলে একটা প্রতারণার ছক।
আসলে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় তাদের মূল উদ্দেশ্য। এমনকী মুম্বই পুলিশের কোলাবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার পরিচয় দিয়ে এই প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ। তবে গোটা ব্যাপারটি একেবারে ভুয়ো। নানাভাবে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। একাধিক ক্ষেত্রে কমবয়সি ও বয়স্কদের টার্গেট করা হয়। এরপর তাদেরকে গ্রেফতারির ভয় দেখিয়ে একের পর এক টাকা আদায় করা হয়। সব মিলিয়ে গোটা পরিবারকে উদ্বেগের মধ্য়ে ফেলে দিয়ে, আতঙ্কের মধ্য়ে ফেলে দিয়ে টাকা আদায় করা হয়। একেবারে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়।আর সেই ডিজিটাল অ্যারেস্টের প্রতারণায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল দিল্লি থেকে। ৯৩০টি প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত সে। দিল্লিতে ফাঁদ পেতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
এদিকে গড়িয়াহাট, বাগুইআটি, কল্যানী, কোচবিহার সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ডিজিটাল অ্যারেস্টের ঘটনা হয়েছে। একাধিক পরিবার এই ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন। এবার সেই ডিজিটাল অ্যারেস্টের পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হল দিল্লি থেকে। মনে করা হচ্ছে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে এবার।