संवाददाता, फतेहपुर : উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরে খুন করা হল কৃষক নেতা সহ ৩ জনকে। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে কৃষক নেতা পাশাপাশি আছে তাঁর ছেলে ও ভাই। আজ ভোররাতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এই তিনজনকে। এই ট্রিপল মার্ডারে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত এবং প্রশাসনের ওপর খুবই ক্ষুব্ধ। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে সেই তিনজনের লাশ পর্যন্ত তুলে নিয়ে যেতে বাধা দেয়। পুলিশের কাছে স্থানীয়রা দাবি, খুনিদের আগে গ্রেফতার করতে হবে। তবেই দেহ ছাড়া হবে সেখান থেকে। এদিকে এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশবাহিনী পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। ক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। (আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার বাড়ির বাইরে বিস্ফোরণ পঞ্জাবে, তদন্তে নামল পুলিশ)
আরও পড়ুন: 'আমি আসছি...', বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ কর্মীদের বড় বার্তা হাসিনার
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ফতেপুরের হাথগাম থানা এলাকার তাহিরাপুর মোড়ের কাছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অস্ত্র নিয়ে ট্র্যাক্টরে করে ঘটনাস্থলে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর এই তিনজনকে গুলি করে খুন করে পালিয়ে যায় তারা। মৃতদের নাম পাপ্পু সিং (৫০ বছর বয়স), তাঁর ছেলে অভয় সিং (২২ বছর বয়স) এবং ছোট ভাই রিঙ্কু সিং (৪০ বছর বয়স)। প্রয়াত কৃষক নেতা পাপ্পু সিংয়ের মা রামদুলারি সিং বর্তমানে গ্রামের প্রধান। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। (আরও পড়ুন: দলেরই মহিলা সাংসদকে কুকথা, কে TMC-র সেই MP? সামনে ভিডিয়ো; ফাঁস হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্ক জুজুতে ভারতের 'পৌষমাস', আর চিনের সর্বনাশ! বড় দাবি রিপোর্টে
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে হাঠগাম, হুসেনগঞ্জ ও সুলতানপুর ঘোষ থানার পুলিশ বাহিনী। পুলিশ মৃতদেহগুলি নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু গ্রামবাসীরা পুলিশকে মৃতদেহ তুলতে বাধা দেয়। পলাতক খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে ঘটনাস্থলে জড়ো হয় জনতা। পরে পুলিশ বোঝানোর পরে লাশ তিনটি তোলার অনুমতি দেয় তারা। জানা গিয়েছে, ঘটনাটির সঙ্গে গ্রামের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন প্রধান মুন্নু সিং ও তাঁর সহযোগীদের যোগ থাকতে পারে। তবে পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে কেউ সেই অভিযোগ জানায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্মকর্তারা বলছেন যে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। একজন খুনিও রেহাই পাবে না। বর্তমানে জনতা তাদের দাবিতে অনড়। পুলিশ জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।