সাত সকালে বড়সহ দুর্ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক যুবতীর। বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়িটি বিপদজনক অবস্থায় ছিল। মঙ্গলবার সকালে সেই বাড়িটি ভেঙে পড়ে। এদিন পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রুস্তম ঘুমটি এলাকায় এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: বাঘাযতীনের হেলা-বহুতল গুঁড়িয়ে দিল KMC, ঝুলে ট্যাংরার হেলে পড়া বাড়ির ভাগ্য!
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম খুশবু খাতুন। বয়স আনুমানিক ২৩ বছর। এদিন বাড়ি ভাঙার বিকট আজ শুনে স্থানীয়রা বেরিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় জগদ্দল থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়ির ভিতরেই ঘুমোচ্ছিলেন খুশবু সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ফলে স্থানীয়দের অনুমান ছিল, বাড়ির ভিতরে কেউ আটকে থাকতে পারে। এরপর ধ্বংসস্তূপ সরাতেই খুশবুর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও, ঘটনায় আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
টিঙ্কু আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঘটনার সময় হতাহতরা বাড়ির ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় একতলার বাড়িটি ভেঙে পড়ে। তিনি জানান, ‘বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়িটি বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। তবে দিন দুয়েক আগে ঝড় হয়েছিল। তাতে বাড়িটি ভাঙেনি অথচ কোনও ঝড় ঝাপটা না থাকা সত্ত্বেও আজ সকালে বাড়িটি ভেঙে পড়ল। এটা একটা দুর্ঘটনা। বাড়িটি ভেঙে পড়তেই স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছেন।’ এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কী কারণে বাড়িটি ভেঙে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোঁড়ার দিকে কলকাতার বড়তলা থানা এলাকার দুর্গাচরণ স্ট্রিটে আচমকা বাড়ির বাড়ির বারান্দা ভেঙে পড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল। সেক্ষেত্রেও বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল বাড়িটি। যদিও পুরসভার তরফে বাসিন্দাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন ভাটপাড়ার ঘটনায় অবশ্য পুরসভার তরফে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কি না তা বলতে পারছেন না স্থানীয়রা।