শনিবার ভ্যাঙ্কুভারের একটি ঐতিহাসিক গুরুদ্বারের দেয়ালে খালিস্তানপন্থী এবং ভারতবিরোধী গ্রাফিতি আঁকা হয়েছিল। এই নিয়ে ইন্দো-কানাডিয়ান সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ বিভাগ (ভিপিডি) সোমবার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের আশ্বস্ত করেছে যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। খালসা দিওয়ান সোসাইটির (কেডিএস) রস স্ট্রিট গুরুদ্বারে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এই বৈঠকে কেবল গুরুদ্বারের পদাধিকারীরাই উপস্থিত ছিলেন না, হিন্দু মন্দির, অন্যান্য গুরুদ্বার এবং সম্প্রদায় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সারের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও শনিবার একই ধরনের 'হামলার' শিকার হয়েছিল। তারাও এই সভায় উপস্থিত ছিল। বৈঠকের পর কেডিএসের ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ সিং সাংঘেরা এক বিবৃতিতে বলেন, 'ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ বিভাগের সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে পুলিশ শীঘ্রই এই নিন্দনীয় ঘটনার দোষীদের গ্রেপ্তার করবে।'
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডো সরে যাওয়ার পরও খলিস্তানিরা ক্রমেই বেপরোয়া উঠছে কানাডায়। এই আবহে সম্প্রতি ভ্যাঙ্কুভারের একটি ঐতিহাসিক গুরুদ্বারে খলিস্তানি কট্টরপন্থীরা তাদের স্লোগান লিখে দিয়ে গিয়েছে। গুরুদ্বারে ভারত-বিরোধী স্লোগান লিখে এই 'হামলা' চালানো হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, খালসা দিওয়ান সোসাইটির গুরুদ্বারয় এই হামলা হয়। এটি রস স্ট্রিট গুরুদ্বার নামেও পরিচিত।
গুরুদ্বারের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিলেন, 'একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখরা আমাদের পবিত্র গুরুদ্বারের দেওয়াল বিকৃত করেছে এবং দেওয়ালে খলিস্তানি স্লোগান লিখেছে। খালসা সাজনা দিবস উপলক্ষে আমরা ঐক্যের বার্তা দিতে চাই। সেখানে একটি গোষ্ঠীর এই কাজ নিন্দনীয়। চরমপন্থী শক্তি শিখদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায় এবং এটা ভয় সৃষ্টির চেষ্টা। কট্টরপন্থীরা আমাদের গুরুজনদের আত্মত্যাগ বুঝতে পারছে না। আমাদের প্রবীণরা বৈচিত্র্য ও স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের বিভক্ত করার প্রচেষ্টা আমরা সফল হতে দেব না।'
উল্লেখ্য, এই গুরুদ্বারটি ১৯০৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। রবিবার গুরুদ্বারে নগরকীর্তন ও বৈশাখী কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। খলিস্তান সমর্থকদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। গুরুদ্বার ছাড়াও সারে ও ব্রিটিশ কলম্বিয়ার মন্দিরেও হামলা চালিয়েছে খলিস্তানিরা। সেখানেও দেওয়ালে খলিস্তানি স্লোগান লেখা হয়েছে।