মামাবাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং একইসঙ্গে ক'টা দিন খুব আনন্দে কাটাতে মামাবাড়িতে এসেছিল মাত্র ১১ বছরের এক বালিকা। ছোট্ট সেই মেয়ের উপরেই উঠল পৈশাচিক যৌন অত্যাচার চালানোর অভিযোগ। কাঠগড়ায় এলাকারই এক বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৭৫ বছর! আক্রান্ত নাবালিকা তাঁকে 'দাদু' বলে ডাকে!
সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য বলছে, এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়া জেলার তেহট্টের সংশ্লিষ্ট গ্রামে। এই গ্রামেই 'আক্রান্ত' বালিকার মামাবাড়ি। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গতকাল (শুক্রবার - ১৮ এপ্রিল, ২০২৫) বিকেলে হঠাৎই নাবালিকার চিৎকার শুনতে পান আশপাশের বাসিন্দারা। সেই আওয়াজ লক্ষ করে এলাকারই একটি বেড়ার ঘরের বাইরে পৌঁছন তাঁরা। চিৎকারের শব্দ আসছিল সেই ঘরেরই ভিতর থেকে।
এরপরই নাবালিকার উপর অত্যাচারের বিষয়টি সামনে আসে। সূত্রের দাবি, বৃদ্ধকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে সেই ঘরেই আটকে রাখেন। খবর পাঠানো হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এদিকে, এরই মধ্যে কেউ বা কারা বেড়ার ঘরের ফাঁকফোকড় দিয়ে বৃদ্ধের কুকর্মের ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখে। সেই ভিডিয়ো সামনে আসার পর এলাকাবাসী আরও ক্ষেপে যায়। কে এমন ঘটনা ঘটাল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ১১ বছরের ওই মেয়েটি তার মামবাড়িতে একা ছিল। সেই সময়েই অভিযুক্ত বৃদ্ধ সেখানে পৌঁছন। বাড়িতে আর কেউ নেই দেখে তিনি প্রথমে মেয়েটিকে ভুলিয়ে নিজের সঙ্গে ওই বেড়ার ঘরে নিয়ে যান। সেই সময় ওই ঘরে আরও একটি বাচ্চা ছেলে ছিল। সেই বাচ্চাটি ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই নাবালিকার উপর অত্যাচার শুরু করেন বৃদ্ধ। তাতেই মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে।
৭৫ বছরের বৃদ্ধের এমন পৈশাচিক আচরণে প্রতিবেশীরা হতবাক যেমন হয়েছেন, তেমনই তাঁরা এর প্রতিবাদে সোচ্চারও হয়েছেন। তাঁদের একটাই দাবি, ওই বৃদ্ধকে আইন অনুসারে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বয়সে প্রবীণ বলে তিনি যেন ছাড়া পেয়ে না যান।
এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। তারা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। পুলিশের তরফে দ্রুত তদন্ত ও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেই সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত দাবি করা হচ্ছে।