ডিভোর্সের মামলা ঝুলে, তবু মহম্মদ শামি এখন হাসিন জাহানের জীবনে অতীত। ছাদ আলাদা হয়েছে বহু আগেই। তিক্ততা নিয়েই ভেঙেছিল শামি-হাসিনের সম্পর্ক। এদিকে ডিভোর্সের পর মেয়ে একমাত্র মেয়ে আইরা অবশ্য কলকাতায় মায়ের সঙ্গেই থাকে। তবে শামির থেকে আলাদা হলেও নিত্যদিনই প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে 'গালমন্দ' করতে দেখা যায় হাসিনকে। যেকারণে নেটপাড়ার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও থাকেন তিনি।
অতি সম্প্রতি মেয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো পোস্ট করে ফের একবার চর্চায় এলেন হাসিন জাহান। কী আছে সেই ভিডিয়োতে?
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হাসিন সিটবেল্ট পরে ড্রাইভারের ঠিক পাশের সিটেই বসে। সোনু বা ছনু (ঠিক বোঝা যাচ্ছ না) বলে মেয়েকে ক্রমাগত ডেকেই চলেছে তিনি। পিছনের সিটে আইরা তখন আধশোয়া হয়ে বসে। মায়ের ডাকে উঠে বসল সে। আর তখনই মেয়েকে উড়ন্ত চুমু ছুড়ে দিলেন হাসিন। পাল্টা মাকে নকল করে একইভাবে চুমু দিল আইরাও। হাসিন বললেন, ‘মেরা বেবি..।’ আদর করে ফের মেয়ের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘তু কিসকা বেবি হ্যায় তু?’ আইরা মায়ের দিকেই আঙুল দেখালো।
পুরো ভিডিয়োটিই মজা করেই বানানো। তবে ভিডিয়োর নিচে নেটপাড়ার অনেকেই কমেন্ট করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘বেবি তো আপকা ভি হ্য়ায়, শামি ভাই কা ভি’, কেউ লিখেছেন, ‘সির্ফ আপকা নেহি, শামি ভাইকা ভি বেটি হ্যায়’। কেউ জানেতে চেয়েছেন, ‘শামি ভাই কি আসেন এখন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে?’ কারোর প্রশ্ন ‘শামি আপনাকে ছেড়ে এখন কার পিছনে পড়েছেন?’ এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।
এদিকে আবার ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সুইমিং পুলের জলে ডুব দিয়ে সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন হাসিন।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৭ বছর ধরে এক ছাদের তলায় থাকেন না দুজনে শামি ও হাসি। ২০১৮ সালে শামির বিরুদ্ধে ‘বধূ নির্যাতন’-সহ একাধিক অভিযোগ এনে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন হাসিন। দুজনের বিচ্ছেদ ও খোরপোষের মামলা আলিপুর আদালতে বিচারাধীন।
২০২৩ সালে গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় আলিপুর আদলত হাসিনের পক্ষে রায় দিয়ে জানিয়েছিল। আদালতের নির্দেশ ছিল, প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকার পাঠাতে হবে শামিকে। এর পাশাপাশি মেয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই তারকা পেসারকে। যেহেতু ২০১৮ সালে মামলা রুজু হয়, সুতরাং ওই বছর মার্চ মাস থেকে বকেয়া টাকা হাসিনকে মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল শামিকে। যদিও সেসময় খোরপোষের এই অর্থতে খুশি ছিলেন না হাসিন জাহান।