হায়দরাবাদের রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলিতে অর্থ পাচারের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তেলেগু অভিনেতা মহেশ বাবুর। মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তদন্তের জন্য তাঁকে তলব করা হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষ থেকে। ২৮ এপ্রিল হায়দরাবাদে ফেডারেল তদন্ত সংস্থার অফিসে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে মহেশ বাবুর বয়স ৪৯ বছর। বিনোদনের দুনিয়ায় তাঁর কেরিয়ার যে দীর্ঘ তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তার মাঝেই এই ঘটনায় নাম জড়ায় অভিনেতার। রিয়েল এস্টেট সংস্থা সুরানা গ্রুপ এবং সাই সূর্য ডেভেলপারদের বিরুদ্ধে তদন্তের অংশ হিসেবে হায়দরাবাদের একাধিক স্থানে ইডি অভিযান চালানোর প্রায় এক সপ্তাহ পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন: 'কথা' এবার হিন্দিতে! সুস্মিতা-সাহেব কি থাকছেন? রহস্য ফাঁস করলেন প্রসেনজিৎ
পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুসারে, পিএমএলএ-র অধীনে চলা তদন্তে সময় মতো রিয়েল এস্টেট প্রকল্পগুলি সরবরাহ না করার অভিযোগ উঠেছে। সাই সূর্য ডেভেলপারসের মালিক কাঞ্চারলা সতীশ চন্দ্র গুপ্ত 'গ্রিন মিডোস' নামের একটি প্রকল্পের ডেলিভারি ডিফল্টের অভিযোগে পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। আর সেই প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন মহেশ বাবু, ফলে জড়িয়েছে তাঁর নামও।
আরও পড়ুন: 'মানসিক ভাবে অনেক অভিজ্ঞতা আমাদের দুর্বল করে…', ভোগের ট্রেলার লঞ্চে হঠাৎ কেন এমন বললেন পরমব্রত?
পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত হিসেবে তদন্ত চলছে না। কারণ তিনি এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত নাও থাকতে পারেন। তদন্তকারীরা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, তিনি অভিযুক্ত কোম্পানিগুলির রিয়েল এস্টেট প্রকল্পগুলির মুখ হতে পারেন ঠিকই, কিন্তু আড়ালে চলতে থাকা জালিয়াতির কথা তিনি নাও জেনে থাকতে পারেন।
পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, ওই সংস্থার সঙ্গে অভিনেতার ৫.৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। অভিনেতা কোম্পানিগুলি থেকে চেক এবং নগদের মাধ্যমে এই টাকা এনডোর্সমেন্ট ফি হিসেবে পেয়েছেন।
পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুসারে, সাই সূর্য ডেভেলপারদের স্বত্বাধিকারী সতীশ চন্দ্র গুপ্ত এবং ভাগ্যনগর প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক নরেন্দ্র সুরানা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে তেলঙ্গানা পুলিশের অভিযোগ থেকে ইডি মামলাটি দায়ের করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ প্লট বিক্রির নাম করে বিনিয়োগকারীদের কষ্টার্জিত অর্থ অগ্রিম হিসেবে নেওয়া পর, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। তার জেরেই মামলা দায়ের করা হয়।
তল্লাশির পর জারি করা এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রতারণামূলক পরিকল্পনা করেছিল। যার মধ্যে ছিল অননুমোদিত জমির লেআউট, একই প্লট বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা, সঠিক চুক্তি ছাড়াই অর্থ গ্রহণ করা এবং প্লট নিবন্ধনের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া।