গরমকাল এলে ফলের রাজা আমের জন্য অপেক্ষা শুরু হয়। বাচ্চা হোক বা বড়, আমের মিষ্টি এবং রসালো স্বাদ সকলেই পছন্দ করে। কিন্তু মজার বিষয়, এই একই স্বাদ কিছু মানুষের জন্য ঝামেলার কারণও হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবিটিস আছে তাদের জন্য মিষ্টি আম খাওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। আসলে, আমে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যার কারণে এটি সুগারের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। এই কারণেই ডায়াবিটিস রোগীরা আম খাওয়া এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এখন আপনার হাল ছেড়ে দেওয়ার দরকার নেই কারণ আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু টিপস বলছি যার সাহায্যে আপনি ডায়াবিটিস থাকলেও আম খেতে উপভোগ করতে পারবেন।
কতটা খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখুন
যখন আপনার সামনে রসালো আম রাখা হয়, তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু যদি আপনি আপনার স্বাস্থ্যের সাথে আপস না করে আম উপভোগ করতে চান, তাহলে অংশটির ব্যাপারে সচেতন থাকুন। প্রতিদিন একটি আম খেলে আমের স্বাদ উপভোগ করা যাবে এবং চিনি বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকবে না।
কোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খান
যদি আপনি চিনির মাত্রা বৃদ্ধির চিন্তা না করে আম উপভোগ করতে চান, তাহলে এটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারের সাথে মিশিয়ে নিন। আমের সাথে ভেজানো শুকনো ফল, চিয়া বীজ বা অন্য কোনও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এতে হঠাৎ করে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে না এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় থাকবে।
সঠিক উপায়ে আম খান
ডায়াবিটিস রোগীদের আম খাওয়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত। প্রথম কথা হলো, আমের সজ্জা সহ সবসময় খাও, এর রস বা শেক পান করা থেকে বিরত থাকো। এর পাশাপাশি, সবসময় সকালে বা দুপুরের খাবারের সময় আম খান, রাতে আম খাওয়া যেকোনো মূল্যে এড়িয়ে চলুন।
এই বিষয়গুলোও মনে রাখবেন
ডায়াবিটিস রোগীদের আম খাওয়ার পর অবশ্যই তাদের চিনির মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। এর মাধ্যমে, আপনি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে আম আপনার শরীরে কীভাবে প্রভাব ফেলছে। আম খাওয়ার পর যদি আপনার চিনির মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও মনে রাখবেন যে আম খাওয়ার পর, অন্য কোনও উচ্চ কার্ব ফল বা খাবার খাবেন না, এতে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।