কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য নিম্ন আদালতকে সময় বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী অগোস্টের মধ্যে শোভন এবং রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার।নিষ্পত্তি করতে হবে। এছাড়াও এই মামলায় রত্নার পক্ষের বাকি পাঁচজন সাক্ষ্যর সাক্ষীগ্রহণ করতে হবে বলেও নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: শোভন-রত্না ডিভোর্স মামলা এবার কোনপথে! কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?
‘আনন্দবাজার ডটকম’এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লা এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে। মামলায় আগেই শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য আদালতকে জানিয়েছিলেন। গত শুনানিতে রত্না চট্টোপাধ্যাইয়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার শুনানিতে রত্না জানান, তিনি নিম্ন আদালতের কাছে ৭ জন সাক্ষীর কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সকলের সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। তার মধ্যে দুজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁর পক্ষের সকলের সাক্ষ্য যাতে গ্রহণ করা হয় সেবিষয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানান। সেই আর্জি মঞ্জুর করে এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষের বাকি ৫ সাক্ষীদের বয়ান আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রেকর্ড করতে হবে।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, নিম্ন আদালতে ২০১৭ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় প্রাক্তন মেয়েরের পক্ষে তিনজন সাক্ষী দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে সেই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরে রত্না জানান, তাঁর পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য রয়েছেন ১৮ থেকে ২০ জন রয়েছে। তবে এত বড় তালিকায় মান্যতা দেয়নি নিম্ন আদালত। পরে রত্না নতুন তালিকা দিয়ে জানান তাঁর পক্ষে সাক্ষ্য দেবেন ৭ জন। তাতেও রাজি হয়নি আদালত। শেষে রত্না এবং তাঁর ছেলের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। যদিও রত্না ওই ৭ জনের তালিকায় তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের নাম রেখেছিলেন। তবে নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, শুধুমাত্র বিচ্ছেদের বিষয়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িতরাই সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
রত্নার ৭জন সাক্ষীর আবেদন গৃহীত না হওয়ায় তিনি হাইকোর্টে যান। তবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন শীর্ষ আদালতের রায়ে স্বস্তি পেয়েছেন রত্না। তিনি জানান, শীর্ষ আদালতে বিচার পেয়েছেন। এর জন্য দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।