৪০ বছরে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সৌদি আরবের জেদ্দায় গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান সৌদির আকাশসীমায় প্রবেশ করতেই, তাঁকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানানো হয়। যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে সৌদিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই সফরে অপরিশোধিত তেল ও তৈল সংশোধনাগারে লগ্নির বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে দুই দেশ। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে অন্তত ৬টি মউ সাক্ষরও হতে পারে।
আরও পড়ুন-'ঐতিহাসিক সম্পর্ক…', তৃতীয় সৌদি সফরে যাওয়ার আগে বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
এদিন প্রধানমন্ত্রীর বিমান সৌদি আরবের আকাশসীমায় প্রবেশ করতেই, সৌদির বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মোদীকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানায়। রয়্যাল সৌদি এয়ার ফোর্সের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানকে এসকর্ট করে নিয়ে যায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য সৌদির এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। জানা গেছে, জেদ্দায় সৌদির রাজপুত্র মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন যৌথভাবে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিলের দ্বিতীয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
এই সফরে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে অন্তত ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাব্য চুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে মহাকাশ, স্বাস্থ্য, শক্তি, সংস্কৃতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্র। ভারতের সর্বোচ্চ অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারী তিনটি দেশের মধ্যে একটি সৌদি আরব। পাশাপাশি হজযাত্রা নিয়ে সৌদির যুবরাজের সঙ্গে বিশদে আলোচনা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর। এই প্রসঙ্গে সৌদি আরবে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সুহেল আজাজ খান জানিয়েছেন, 'হজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় কাজ, এবং ভারতের সরকার এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখে।'
আরও পড়ুন-'ঐতিহাসিক সম্পর্ক…', তৃতীয় সৌদি সফরে যাওয়ার আগে বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৌদিতে একটি কারখানা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে অনেক ভারতীয় কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৬ সালে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘কিং আবদুলআজিজ সাশ’ অর্জন করেছিলেন।